“In photography there is a reality so subtle that it becomes more real than reality.” — Alfred Stieglitz
⭕আপনার হয়ত শাড়ির বিজনেস। অনেক শাড়ি আছে আপনার কালেকশনে। ক্রেতা শাড়ি দেখতে চাইছে বলে আপনি একটার পর একটা শাড়ি
দেখিয়েই যাচ্ছেন।
আপু এটা দেখান তো, ওয়াও কি সুন্দর শাড়িটা! আচ্ছা আপু, প্রথম যে শাড়িটা দেখিয়েছিলেন ওই শাড়িটাই আরেকবার দেখি!
বাহ, এটাও কি সুন্দর....
আচ্ছা আপু ওই যে নীল শাড়িটা দেখিয়েছিলেন চওড়া পারের, ওইটা আবার দেখান না! আচ্ছা আপু এটা দেখি, আচ্ছা আপু ওটা
দেখি, এটার রঙ থাকবে তো! আমায় মানাবে তো! সুতোটা ভালো হবেতো! আমার বান্ধবীরা পছন্দ করবে তো! আমার মানুষটার পছন্দ
হবে তো!
⭕এভাবে ৮/১০ টা বা তারও বেশি শাড়ি দেখার পর, একটার পর একটা প্রশ্ন শুনে আপনি যখন কনফিউজড, আপনার সেই ক্রেতাও
কনফিউজড।
যদি তার এমন ক্ষেত্রে একটা শাড়ি নেওয়ার বাজেট থাকে, তবে বেশিরভাব ক্ষেত্রেই সে কনফিউজড হয়ে শাড়িটা না নেওয়ার ই
সিদ্ধান্ত নেয়। আর আপনিও শাড়ি দেখাতে দেখাতে বিরক্ত হয়ে, আচ্ছা আপু পরে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই না হয় নেবেন বলে
ভদ্র ভাবে এড়িয়ে যান।
⭕আমি এটা অনলাইন বিজনেসের প্রাত্যহিক একটা ঘটনা বললাম। যা ট্রেডিশনাল বিজনেসেও ঘটে প্রতিনিয়ত। শুধু শাড়ি নয়,
প্রত্যেকটা পণ্যের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটে।
আপনি ভাবছেন কি করে এমন পরিস্থিতিতে সেই কাস্টমারকে সামলাবেন?
কি করে আপনার পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন?
⭕চলেন সমাধানের পথ খুঁজি....
সত্যি বলতে এর সমাধান আপনারই কাছে। আপনি ই পারেন সেই ক্রেতাকে তার জন্য সঠিক পণ্যটি বাছাই করে দিতে।
ভবছেন কি করে?
আচ্ছা, আপনার ক্ষেত্রে কখনো এমন হয়নি? দোকানে গিয়ে অনেক অনেক শাড়ি দেখে কনফিউজড হয়ে পরেন নি? এমন হয়নি, যে কোনটা
নেবেন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন!
নিশ্চই হয়েছে।
আর এই সময়ে বিক্রেতা আপনাকে হেল্প করে। বলে যে, আপু এই শাড়িটাতেই আপনাকে দারুন লাগবে। আপনার যে বাজেট তাতে এর
চেয়ে ভালো শাড়ি আর হতেই পারেনা। আপনার গায়ের রঙের সাথে এই কালারটা ভীষণ ভাবে যায়।
ব্যাস এটুকুই....
আপনিও কিছুক্ষন সেটা হাতে নিয়ে দেখে, আচ্ছা ভাইয়া দিয়ে দেন বলে নিয়ে নেন।
⭕এই ব্যাপারটির একটি সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যাও আছে। আপনি এতো শাড়ির মাঝে বারবার যে শাড়িটি হাতে নিয়ে দেখছেন, সেটা
খেয়াল করতে থাকেন বিক্রেতা। খেয়াল করে দেখবেন প্রথম ২/৩ টা শাড়ি বের করার পরেই আপনি যে টাইপের শাড়িতে হাত দিয়ে
দেখেন, বিক্রেতা সেই টাইপের শাড়িই এরপর থেকে বের করতে থাকেন।
ধরেন আপনি কয়েকটা রংচঙে শাড়ির মধ্যে একটু হালকা কালারের শাড়িতে হাত দিয়েছেন, সাথে সাথেই বিক্রেতা বুঝে যান আপনার
হালকা কালারের শাড়ি ই পছন্দ। এরপর সে ওগুলোই বের করতে শুরু করেন।
⭕এমন টা সব ক্ষেত্রেই হতে পারে কিন্তু। আপনার হয়ত মিষ্টি নিয়ে কারবার, এই মিষ্টি ওই মিষ্টি দেখে ক্রেতা বুঝতেই পারছেনা কোনটা ভালো লাগবে! যদি আপনি তাকে তার পছন্দমত মিষ্টি পেতে সাহায্য করেন, দেখবেন কোনভাবেই সেই ক্রেতা মিষ্টি না নিয়ে যেতে পারবে না। একই ভাবে আপনি খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করলে, কোন খাবারটা আপনার সেরা সেটা আপনিই পারেন তাকে পছন্দ করে দিতে।
⭕এতোক্ষনে আশা করি পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার হয়েছেন আপনারা। শেষে এসে একটাই কথা বলব আপনাদের, আপনি ব্যবসায়ের যে জায়গাতেই ঠেকে যাবেন সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চাইবেন। মানে, নিজের সাথে যা ঘটেছিল বা ঘটছে সেটা মনে করার চেষ্টা করবেন। এর চেয়ে ভালো ট্রিকস আর কিচ্ছু হতে পারেনা।
কারন জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা, জীবনকে যাপনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে।
🎁আগামী পর্বে লিখবো, কমেন্ট এ কি লিখবো?,
কেন লিখবো? লিখলে কি হবে? সেই বিষয় নিয়ে।
বিঃ দ্রঃ আপনাদের যে যে বিষয়ে জানার আছে বা কোন প্রশ্ন আছে। সেগুলো কমেন্টে লিখতে পারেন। আমি যতটা জানি সেই বিষয়ে ট্রিকস লেখার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।😍
~সুকান্ত দে